স্বাধীনতার পর এই প্রথম দেশে এক মহিলার ফাঁসির প্রস্তুতি শুরু হল। মথুরার জেলে সেই মহিলার ফাঁসির জন্য প্রস্তুতি তুঙ্গে। উত্তরপ্রদেশের একমাত্র ফাঁসির ঘরটি রয়েছে মথুরার জেলে। সেখানেই আমরোহার শবনম নামে এক মহিলার ফাঁসি হতে পারে। নির্ভয়ার দোষীদের ফাঁসিতে ঝোলানো পবন জহ্লাদ ইতিমধ্যে দুবার ফাঁসিকাঠের পরীক্ষা করেছেন। Supreme Court-এ ফাঁসির সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ হয়েছে। শবনমের ফাঁসি মকুবের আবেদন গিয়েছিল রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে। অপরাধের নৃশংসতার বিচার করে তিনিও ফাঁসির আদেশ বহাল রেখেছেন।
শবনমের ফাঁসি এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। মথুরা (Mathura) জেলে মহিলাদের ফাঁসিঘরে শবনমকে ফাঁসি দেওয়া হবে। বহুদিন ধরে অব্যবহৃত সেই ঘর। এমনকী ফাঁসিকাঠের ব্যবহারও এর আগে কখনও হয়নি। তাই জেল কর্তৃপক্ষের চাপ বেড়েছে। ডেথ ওয়ারেন্ট জারি হলেই শবনম নামের সেই মহিলা অপরাধীর ফাঁসি হবে। তার আগে সমস্ত প্রস্তুতি সেরে রাখতে চাইছে জেল কর্তৃপক্ষ। এই ঘর তৈরি হয়েছিল ১৫০ বছর আগে। তবে কোনওদিন সেখানে ফাঁসি হয়নি। শবনমের ফাঁসির দড়ি আনা হবে বিহারের বক্সার থেকে। কিন্তু কেন স্বাধীনতার পর প্রথম মহিলা হিসাবে শবনমকে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে! কী তার অপরাধ! কীসের জন্য চরম শাস্তি ভোগ করতে হবে ?
উত্তর প্রদেশের আমরোহা জেলার হাসানপুরের বাসিন্দা শবনম। বাবনেখেড়ি গ্রামের এক শিক্ষকের একমাত্র মেয়ে সে। সলিম নামের স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে শবনম। সুফি পরিবারের মেয়ে শবনম ইংরেজি ও ভূগোলে এমএম পাশ করেছিলেন। অবস্থাসম্পন্ন পরিবারের মেয়ে। উল্টোদিকে সলিম ক্লাস ফাইভ ফেল। দিনমজুর হিসাবে কাজ করত সেলিম। ফলে শবনমের সঙ্গে সেলিমের সম্পর্ক বাড়ির লোক মেনে নেয়নি। ২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিলের রাতে প্রেমিক সেলিমের সঙ্গে বাবা, মা, দশ মাসের ভাইপোসমেত পরিবারের সাতজনকে খুন করেছিল শবনম। কুঠার দিয়ে পরিবারের সদস্যদের শরীরে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছিল তারা দুজন।
সূত্র : Zee News
No comments:
Post a Comment